Wedding Solution by Wedding Astrologer in Kolkata

June 2, 2022

Wedding Astrologer in Kolkata

বিবাহ বিচার ও তার রীতিনীতি নির্ধারণ By Wedding Astrologer in Kolkata


কথিত আছে বিবাহ পূর্ব নির্ধারিত এবং সেটা ঈশ্বরের কৃপায় সম্পন্ন হয় ।বিবাহ শুধু দুটি মানুষের মিলন নয় দুটি পরিবারের মিলনও হয়। বিবাহের ক্ষেত্রে বিশেষ করে প্রেমজ বিবাহের ক্ষেত্রে যদি সেটা নিজ সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে নাও হয় তাহলেও সেটা রীতিনীতি মেনে করা হয়ে থাকে। স্ত্রী ও পুরুষের মধ্যে আসক্তি থাকবে এবং সেটা থেকে প্রেম ও বিবাহ হবে সেটা স্বাভাবিক ব্যাপার।পৌরাণিক ধর্ম গ্রন্থ থেকে জানা যায় বিবাহ আট রকমের হতে পারে।


আপ্ত , দৈভ, , আর্শ, প্রজাপাল্য, অশুর , গন্ধর্ব,রাক্ষস ও পৈশাচ পদ্ধতিতে। এদের মধ্যে ভারতবর্ষের সবথেকে পুরনো প্রথা গন্ধর্ব মতে বিবাহ ।এই মতে একজন পুরুষ ও স্ত্রী তাদের ইচ্ছামত একে অপরকে বিবাহ করতে পারে ।প্রথম এই মতে বিবাহ ঘটে দুষ্মন্ত ও শকুন্তলার। যখন দুষ্মন্ত শকুন্তলার প্রতি প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়ে ,তাদের সন্তান জন্ম হয়। নাম হয় ভরত এবং তা থেকেই আজকের এই ভারতবর্ষ।

বিবাহের ক্ষেত্রে জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রাথমিকভাবে দ্বিতীয়, সপ্তম ও একাদশ ভাব কে বিচার করা হয়। দ্বিতীয়ভাব দুটি পরিবারের মিলন, সপ্তম ভাব স্বামী ও স্ত্রীর সম্বন্ধ ও একাদশ ভাব বিবাহের সাফল্য। আর প্রেমজ বিবাহের ক্ষেত্রে আরো লগ্ন তৃতীয় চতুর্থ ও পঞ্চমভাবেরও প্রয়োজন হয়।

লগ্ন : লগ্ন ও লগ্নপ্রতি নির্দেশ করে একটি মানুষের প্রকৃতি কেমন হবে। যদি জাতক বা জাতিকা জন্ম ছকে লগ্ন বা লগ্নের গ্রহ একে অপরের বন্ধু হয় বা বন্ধুত্ব ভাবাপন্ন হয় তবে তাদের সম্পর্ক স্থায়ী হয়।

দ্বিতীয় ভাগ :দ্বিতীয় ভাগ নির্দেশ করে তাদের পরিবার ও পরিবারের শান্তি এবং আর্থিক স্বচ্ছলতা। যদি জাতকের দ্বিতীয় প্রতি জাতিকার দ্বিতীয় গ্রহের সহায়ক হয় তবে তাদের বিবাহ পরিবারের মতের অনুসারী হয়ে থাকে।

তৃতীয় ভাগ :তৃতীয়বার নির্দেশ করে সাহস বা বীরত্ব। যখন তৃতীয়ভাব বা ভাবের গ্রহ শক্তিশালী হয় তখন সে তার নিজস্ব মত পোষণ করতে পারে যা কিনা প্রেমজ বিবাহের ক্ষেত্রে খুবই তাৎপর্য।

Wedding Astrologer in Kolkata

চতুর্থ ভাব :এই ভাব পরিবারের সুখ নির্দেশ করে। তাছাড়াও জাতক-জাতিকার প্রত্যাশা পূরণের ক্ষেত্রে এই ভাব জরুরী। যখন এইভাব শক্তিশালী হয় তখনই প্রেমজ বিবাহ বাস্তবে রূপ নেয়।

পঞ্চম ভাব: এই ঘর সবথেকে মৌলিক বা প্রাথমিক ঘর যা তাদের আশাকে বাস্তবে রূপ দেয় ।সুতরাং এই ভাব বা ভাবপতি থেকে ভালোবাসার সৃষ্টি হয়।

সপ্তম ভাব: এই ঘরটি জীবনসঙ্গীর মুখ্য ঘর ।বিবাহে যে কয়টি ঘরের মুখ্য ভূমিকা থাকে তাদের মধ্যে এই পঞ্চম ও সপ্তম ভাবেই প্রধান ।যদিও কোনো কোনো বিবাহের ক্ষেত্রে অন্য কোনভাবের সহায়ক ভূমিকা থাকে। এই দুইটি ঘরের বিনা উপস্থিতিতে বিবাহ সম্পন্ন হয় না ।সুতরাং সব ভাব বা ঘর বিচার করতে গেলে যেমন ভাব বা ভাবপতি, দৃষ্টি ,গ্রহ বা নক্ষত্র সংযোগ প্রভৃতি বিষয় খুব মনোযোগ সহকারে বিচার করা দরকার। আবার বিবাহ নিজের ধর্ম বা জাতির সঙ্গে হবে কিনা সেটা বিচারের জন্য নবম ভাব বিচার প্রয়োজন ।এই নবম ভাবে গুরু বৃহস্পতির শুভদৃষ্টি পড়লে সেই বিবাহ প্রেমজ এবং নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পন্ন হয় ।আবার এও দেখা যায় যে নবম ভাবে শনি রাহু দৃষ্টি পড়লে সেই বিবাহ নিজের সম্প্রদায়ের বাইরে হয়।

সুতরাং কোনো প্রেমজ বিবাহের ক্ষেত্রে কোন জাতিকার জন্ম ছক পরীক্ষা করিবার সময় ভালো করে শুক্র চন্দ্রের অবস্থান ও তার শক্তি কতটা দেখে নেয়া দরকার ।এবং জাতকের ক্ষেত্রে মঙ্গল ও শুক্রকে বোঝা দরকার ।


যদি শুক্র, রাহু ও শনির অবস্থান করে ভালোবাসায় দৈহিক সম্পর্ক থাকে ।যদি সপ্তমে রাহু , শনি ও রবির দৃষ্টি থাকে ভালোবাসা বিবাহে সাধারণত পরিণত হয় না। যদি শুক্র, শনি বা রাহুর দৃষ্টি থাকে তাহলে জাতকের অনেকের সঙ্গে সম্পর্ক থাকে যদিও তা বিবাহে পরিণত হয় না বা বিবাহ হলেও সেই বিবাহ বেশি দিন স্থায়ী হয় না।

To Book your Appointment with Best Wedding Astrologer in Kolkata Dr. Jayanta Goswami please call 9830691553

Leave a Reply:

Your email address will not be published. Required fields are marked *