শুধু যোটক বিচার করে কি পাত্র- পাত্রীর বিবাহ স্থির করা উচিত। by Wedding Astrologer in India
October 13, 2022
শুধু যোটক বিচার করে কি পাত্র- পাত্রীর বিবাহ স্থির করা উচিত। by Wedding Astrologer in India
বলাহয়ে থাকে বিবাহ পূর্ব নির্ধারিত। এবং সেটা ঈশ্বরের কৃপায় সম্পন্ন হয়। বিবাহ শুধু দুটি মানুষের মিলন নয়, দুটি পরিবারের মিলনও বটে। এই বিবাহ ও বৈবাহিক জীবন বিবাহের পূর্বে আমরা বিচার করে দেখে থাকি যাতে জাতক ও জাতিকার দাম্পত্য জীবন সুখের হয়।
বিচারের প্রথম ভাবেই আমরা যো টক বিচার করে থাকি অর্থাৎ পাত্র ও পাত্রীর জন্ম কুন্ডলী দুটিকে একত্রে করে বর্ণকূট , বৈশ্য কুট তারাকুট , যোনি কুট, গ্রহ মৈত্রী, গণ, রাশি নাড়ি কুট প্রভৃতি বিষয়গুলিকে মিলিয়ে নেবার চেষ্টা করি। এবং সেই গুলি জাতক জাতিকার মধ্যে কত ভাগ মিল আছে সেগুলিকে দেখি ।সাধারণত এই বিভাগগুলির মোট যোগফল ৩৬ ধরি। এবং সেগুলিকে বর্ণকূটের মান এক , বৈশ্য কুটের মান ২, তাড়াকুট ৩ , যোনি কুট চার, গ্রহ মৈত্রী ৫ , গন ৬, রাশি ৭ ও নারীকূট ৮ এইভাবে ভাগ করি। মোট ৩৬ ভাগের মধ্যে ১৮ ভাগ অর্থাৎ ৫০ শতাংশ মিলন হলেই যোটক বিচারের মাধ্যমে আমরা বিবাহে সম্মতি প্রকাশ করে থাকি।
কিন্তু প্রশ্ন এইখানে। ৫০ শতাংশ মিলন হলেই কি বিবাহ সুখের হবে বা বৈবাহিক জীবনে কোন সমস্যা থাকবে না । এক কথায় উত্তর ‘ না’। এভাবেই যোটক বিচার বা মিলন অসম্পূর্ণ।
এমন অনেক যোটক করে দেখা যায় যাদের প্রাপ্ত মিলন ৩৬এর মধ্যে ৩৪ বা কাছাকাছি তাদেরও বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে বা সংসার জীবনে প্রচন্ড অশান্তি দেখা গেছে।
আবার এমনও দেখা গেছে প্রাপ্ত ৫০ শতাংশের খুব নিচের নম্বরেও দিব্যি সুখের জীবন যাপন করছে দম্পতিরা ।তাহলে নিশ্চয়ই এই পদ্ধতিতে কিছু ফাঁক আছে বোঝা যাচ্ছে। অর্থাৎ দুটি জন্ম ছকের বিশেষ রূপে বিশেষণ করে দেখার প্রয়োজন তাদের ছকে কোনো অশুভ যোগ আছে কিনা যার জন্য বিবাহ জীবন অসুখী হতে পারে।
এই বিষয়গুলির মধ্যে দুই একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম:-
১ । জাতক জাতিকার যেকোন কারোর জন্ম ছাকে মাঙ্গলিক যোগ আছে কিনা সেটা দেখা খুবই দরকার। অর্থাৎ মঙ্গলের অশুভ প্রভাবে বিবাহিত জীবনে কোন ক্ষতি হবার যোগ আছে কিনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জন্মছকের লগ্নে ,চতুর্থে ,সপ্তমে ,অষ্টমে ও দ্বাদশ এ মঙ্গলের অবস্থানে এই মাঙ্গলিক যোগ বা দোষ তৈরি হয়। যার কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ, বৈবাহিক জীবনে অশান্তি, সেপারেশনে থাকা ,এমনকি দুর্ঘটনা বা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে যে কোনো কারোর।এই অশুভ যোগ যোটক বিচারে বিশেষভাবে প্রতিফলিত হয় না।
২ । শনির অবস্থান বা অশুভ দৃষ্টি। শনির অশুভ অবস্থান বা দৃষ্টি জন্মছকে দ্বিতীয় এ,চতুর্থে ,সপ্তমে, অষ্টমে, দশম এ ও দ্বাদশে থাকলে বা পড়লে বিবাহিত জীবনে অশান্তি বা বিচ্ছেদ হওয়ার যোগ সৃষ্টি করে।
৩ । এছাড়া ছন্নছাড়াযোগ, বিষ যোগ ,অঙ্গারযোগ বা অনেক আরো অশুভ যোগের মাধ্যমেও বৈবাহিক জীবনে সমস্যা বা বিচ্ছেদ হতে পারে । অতএব বিবাহ দেবার পূর্বে শুধু মাত্র যোটক বিচার না করে জাতক ও জাতিকার পূর্ণ জন্মছক বিচার করে বিবাহ দেয়া প্রয়োজন।